Discover Natural Beauty Tips
শিশুর চুলের যত্ন
ঘরে ছোট্ট সোনামনির যত্ন নিয়ে বাবা-মার চিন্তার শেষ থাকেনা। জন্মের পর থেকেই তারা চান তাদের প্রিয় সন্তানের জন্য তাদের সবটুকু দিয়ে হলেও ভালো রাখতে। শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশে তাই খাবার ঘুম, গোসল সব কিছুর প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হয়। তাই চুলের যত্নের ব্যাপারেও হতে হবে যত্নশীল ।
অনেকে আছেন শিশুদের চুলে একজন প্রাপ্তবয়স্ক যে ধরনের হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকেন, সেটিই শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করছেন। এটি আসলে ঠিক নয়। কারণ শিশুদের ত্বক ও চুল জন্মের পর থেকে ৫-৬ বছর পর্যন্ত বেশ নমনীয় হয়ে থাকে। তাই বড়দের ব্যবহারের জন্য তৈরি করা স্কিন অ্যান্ড হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট শিশুদের কোমল ত্বক ও চুলে বেশ রুক্ষ করে দিতে পারে।
চুলে ব্যবহার করা শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ও তেলের ক্ষেত্রেও ঠিক একই পরামর্শ দেয়া হয় ।
নিয়মিত চুল পরিষ্কার করা
অনেকেই মনে করেন বাচ্চারা যেহেতু ঘরের বাইরে তেমন যায় না তাই তাদের ঘন ঘন শ্যাম্পু দিয়ে চুল না ধুলেও চলবে। মনে রাখতে হবে জন্মের পর থেকেই বাইরের পরিবেশের সাথে ত্বককে মানিয়ে নিতে শিশুদের স্কিন পীলিং হতে থাকে অর্থাৎ উপরিস্তরের চামড়া উঠতে থাকে। সেই সাথে চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সিবাম প্রোডাকশন চলতে থাকে। তাই প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে অন্তত ১-২ বার চুল বেবী শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। চুলের জন্য শ্যাম্পু বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে সেটি যেন সিলিকন ও প্যারাবেন ফ্রি থাকে তাহলে সেটি শিশুর ত্বক ও চুলের জন্য সবচেয়ে ভালো। তাই শিশুর চুল নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
চুলে তেলের ব্যবহার
শিশুদের স্ক্যাল্প বা মাথার তালু খুব সহজেই শুষ্ক হয়ে ওঠে। স্ক্যাল্প ময়েশ্চারাইজড রাখতে তাই নিয়মিত বেবী বা অলিভ অয়েল তালুতে হালকা ম্যাসাজ করে ব্যবহার করতে হবে। এতে শিশুর স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং চুলের গোড়া মজবুত হয়ে তার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
চুল ছেঁটে নিতে হবে
বাচ্চাদের চুলের বৃদ্ধি একজন প্রাপ্ত বয়ষ্কের তুলনায় দ্রুত হয়। বাচ্চার চুল খুব বেশী থাকলে অনেক সময় তাদের জন্য এটি অস্বস্তিকর হয়ে উঠতে পারে। আবার অনেক সময় তাদের স্ক্যাল্পে অ্যালার্জির সমস্যা হয়ে থাকে। তাই শিশুর স্বাস্থ্য বিবেচনা করে চুল ছেঁটে নিন।
অবশ্যই চুল আঁচড়ে নিন
বাচ্চাদের চুল নিয়মিত আঁচড়ালে স্ক্যাল্পের ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি পায়। সেই সাথে শিশুদের তালুতে হওয়া ক্রেডেল ক্যাপ ( ত্বকে বড়দের মতো পুরু খুশকির মতো আস্তরণ পড়া) এর মতো সমস্যার প্রবণতা অনেকটা কমিয়ে আনা যায়। হেয়ার কম্বিং বা চুল নিয়মিত আঁচড়ানো তার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। চুল আঁচড়ানোর ক্ষেত্রে সফট ব্রিসেলস এর ব্রাশ ব্যবহার করুন।
শিশুর যত্নে অনেক কিছুই চিন্তা ভাবনা করে দেখতে হয়। তাই চুলের ব্যাপারেও থাকতে হবে সচেতন। শিশুর চুলে কোন কিছু ব্যবহারের আগে অবশ্যই উপরোক্ত বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখুন।