BANGLA, Blog

প্যাচ টেস্ট কি? কেনো এই টেস্ট প্রয়োজন?

ত্বকের যত্নে আমরা আমাদের স্কিনে নানা ধরনের পণ্য ব্যবহার করছি। সেটা হয়ত ত্বকের চাহিদার ওপরেও অনেকটা নির্ভর করে। বেশিরভাগ সময়ই ত্বকে সমসাময়িক সমস্যার জন্য আমরা নিজেরা ডাক্তারি কোন পরামর্শ ছাড়াই নানান স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকি । না বুঝে স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে অনেক সময় স্কিনে ইরিটেশিন, রেডনেস বা একনি এইসব সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। স্কিন ড্যামেজ হয়ে যায়।

নামী-দামী সব স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ডের প্রোডাক্টই যে স্কিন সুইটেবল হবে ব্যাপারটি কিন্তু এমন নয়। ফর্মুলেশনে ব্যবহারিত অ্যাক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস স্কিনে কাজ নাও করতে পারে। তাই বলে সেই স্পেসিফিক ব্র্যান্ডটিই ভালো না এমন চিন্তা করা ঠিক হবে না।

আমাদের স্কিন ঠিক কোন ইনগ্রেডিয়েন্টস এ কি ধরনের রিঅ্যাক্ট করবে তা আমরা ধরতে পারিনা। কারণ আমাদের ত্বকের যে ধরন তা কিন্তু সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হতে থাকে। তাই তার চাহিদা অনুযায়ী এমন ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে যাতে স্কিনে ইফেক্টিভলি কাজ করে কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া। তাই যে কোন প্রোডাক্ট ব্যবহার করার আগে প্যাচ টেস্ট করে নিলে সবচেয়ে ভালো হয়।

 

প্যাচ টেস্ট কি?

নতুন কোন স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করার আগে সেটি ত্বকে মানানসই কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা কেই মূলত প্যাচ টেস্ট বলা হয়। আমরা যদিও ত্বকের ধরন ও চাহিদা অনুযায়ী অ্যাক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট ব্যবহার করি কিন্তু যখন সেই একই ইনগ্রেডিয়েন্ট অন্য ফর্মুলেশনে থাকে তখন তা আমাদের স্কিনে অ্যাডজাস্ট হতে কিছুটা সময় নেয় । আবার অনেক সময় রিঅ্যাক্ট করে ফেলে। আবার দেখা যায় অনেকে স্কিনে জন্য কোন মেডিকেশনে আছেন বা ওষুধ খাচ্ছেন তাদেরও ত্বকের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। তাই স্কিনে নতুন কোন কিছু ব্যবহার করতে চাইলে ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করে নিলে ভাল।

 

 

 

 

কিভাবে করতে হয় প্যাচ টেস্ট?

শরীরের যে অংশে প্যাচ টেস্ট করবেন, তা প্রথমে পরিষ্কার করে নিন। কানের পেছনে, ঘাড়ে অথবা হাতের কবজিতে সামান্য পরিমাণে প্রোডাক্ট নিয়ে ৩০ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ ২৪ ঘন্ট রেখে অপেক্ষা করুন। যদি কোনো প্রকার চুলকানি বা জ্বালাপোড়া হয় তাহলে দ্রুত সাবান এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

এসময় খেয়াল রাখতে হবে স্কিনে কি ধরনের রিঅ্যাকশন দেখা যাচ্ছে কিনা। যেমন ত্বকে লালচে ভাব, জ্বালাপোড়া, অ্যালার্জি বা একনির সমস্যা ইত্যাদি।

 

আমাদের ত্বকের জন্য বাজারে অনেক ধরনের স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট এখন পাওয়া যায়। যত প্রোডাক্টই থাকুক না কেনো সব কিছু স্কিনে স্যুট হবে না। তাই বলে সেই ব্র্যান্ডই যে একেবারেই ভাল না বিষয়টি তেমন নয়।  স্কিনে সেই প্রোডাক্ট কিভাবে কাজ করবে তা অনেকটাই নির্ভর করবে প্যাচ টেস্ট এর ওপর। তাই যে কোন নেগেটিভ সাইড ইফেক্ট থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখতে অবশ্যই প্যাচ টেস্ট করে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *