BANGLA, Blog

সুদিং জেল কি এবং কেনো তার এতো জনপ্রিয়তা?

সময়,পরিবেশ এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় সুদিং জেল এর ব্যবহার এখন পপুলার বিউটি ট্রেন্ড। এর নন-স্টিকি, লাইট ওয়েট টেক্সচার এবং হাইড্রেটিং ফিচারস-এর কারণে এখন সবার কাছেই এটি বেশ জনপ্রিয়। সুদিং জেল সরাসরি ত্বকে বা চুলে, কিংবা বিভিন্ন ধরনের স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়। বলতে গেলে সুদিং জেল এখন অল টাইম স্কিন ফেভারেট। কিন্তু কেনো এই জনপ্রিয়তা?

তার আগে চলুন জেনে নেই সুদিং জেল আসলে কি।

সুদিং জেল

সুদিং জেল হলো লাইট-ওয়েট, জেল লাইক স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট যা সাধারণত স্কিন হাইড্রেট করতে এবং ইরিটেশন কমিয়ে আনতে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ন্যাচারাল ইনগ্রেডিয়েন্টস যেমনঃ অ্যালোভেরা, হানি, কিউকাম্বার, স্নেইল এসেন্স ইত্যাদি সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করলে, অনেক সময় স্কিনে হালকা ইচিনেস বা রেডনেস দেখা দেয়। আর যেহেতু সুদিং জেল – এই ধরনের ইনগ্রেডিয়েন্ট স্কিন ফ্রেন্ডলি ইনগ্রেডিয়েন্ট দিয়ে ফর্মুলেট করা হয় তখন এটি স্কিনে তেমন কোন সমস্যা করে না। সেই সাথে কিছু স্কিন ফ্রেন্ডলি ও ইফেক্টিভ প্রিজারভেটিভস থাকার কারণে সুদিং জেল এর স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায় এবং অনেকদিন পর্যন্ত নরমাল কিংবা ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করা যায়।

 

কেনো সুদিং জেল এ পার্সেন্টেজ দেয়া থাকে?

সুদিং জেল কেনার সময় সব সময় সব সময় লেখা থাকে যেমন – ৯৯% অ্যালোভেরা সুদিং জেল। এর মানে হলো এখানে ৯৯% পর্জন্ত অ্যালোভেরা এখানে দেয়া আছে। আর বাকি যে ১% তা হলো অন্যান্য অ্যাক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট এবং ইফেক্টিভ ও গুড প্রিজারভেটিভস যা পণ্যের স্থায়িত্বকাল  বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

আমাদের দেশে প্রিজারভেটিভস নিয়ে অনেক ভ্রান্ত ধারণা আছে। অনেকেই মনে করেন প্রিজারভেটিস মানেই হলো খারাপ। এখন ধরুন অ্যালোভেরা পচনশীল উদ্ভিদ। সেটাকে অনেক দিন পর্যন্ত রেখে ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। তাই এই ধরনের জেল এর মান ও স্থায়িত্বকাল এর সংরক্ষণ এর জন্য এবং স্কিনের যাতে কোন ক্ষতি না হয় এমন প্রিজারভেটিভস ব্যবহার করা হয়।

 

সুদিং জেল এর উপকারীতা

কমায় স্কিন ইরিটেশন

সুদিং জেল এ প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করায় এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ। যা সেনসিটিভ স্কিনেও রেডনেস ও ইরিটেশন কমাতে সাহায্য করে।

 

নন-গ্রিসি ময়েশ্চারাইজার

অনেকের স্কিন অনেক বেশি অয়েলি থাকে, আবার অনেক সময় অতিরিক্ত গরম থাকার কারণে ক্রিম ব্যবহার করলে, ঘেমে যাওয়ার কারণে বেশ অস্বস্তি লাগে। তাই স্কিন হাইড্রেশন এবং ময়েশ্চারাইজেশনের জন্য অনেকেই লাইট ওয়েট এই সুদিং জেল বেছে নেন। যা সারাবছরই ব্যবহার করা যায়। মেকআপের আগে নন-স্টিকি ময়েশ্চারাইজার বেইজ হিসেবে এটা অনেকে পছন্দ করেন।

 

হেয়ার কেয়ারে ব্যবহার

সুদিং জেলকে যদি বলা মাল্টি-পারপাস কেয়ার জেল তাহলে ভুল হবে না। যেমন- অ্যালোভেরা সুদিং জেল। খুশকি, চুলের ড্যামেজ, কিংবা হেয়ার হেয়ার স্টাইলিং এমনকি বিভিন্ন হেয়ার মাস্কের সাথেও মিশিয়েও ব্যবহার করা যায়।

 

স্কিন পোর মিনিমাইজিং

এনলার্জ পোরস এর সমস্যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। বংশগত কারণ, একনি, এক্সেস অয়েল সিক্রেশন কিংবা হরমোনাল সমস্যা । সুদিং জেল যদি ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করা যায় তাহলে সেটি ইরিটেশন কমানোর সাথে সাথে স্কিন রিল্যাক্সড রাখে এবং পোর মিনিমাইজেশনে ইফেক্টিভলি কাজ করে।

 

সান ড্যামেজ কমিয়ে আনে

সুদিং জেল সান ট্যান,সান ড্যামেজ ইফেক্টিভলি কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। সান ড্যামেজের কারণে স্কিন সানবার্নড হয়ে যে স্কিন ইরিটেশন শুরু হয় তা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। এই ধরনের সান বার্ন হলে সুদিং জেল ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা ব্যবহার করুন। এতে স্কিন ইরিটেশনে অনেকটা আরাম পাওয়া যায়।

 

সুদিং জেল একটি কনভেনিয়েন্ট স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট। সুদিং জেল এর ফর্মুলেশন এমনভাবে করা হয় যাতে সব ধরনের স্কিনেই ইজিলি অ্যাপ্লাই করা যায়। অনেকে স্কিনে ফ্রেগ্রেন্স ফ্রি, মাইল্ড এবং সারাবছর ব্যবহার করা যায় এমন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে চান। তাদের জন্য সুদিং জেল বেস্ট অপশন। তাই রেগুলার স্কিন কেয়ারে চাইলে আপনি ব্যবহার করতে পারেন হাইড্রেটিং অ্যান্ড স্কিন লাভিং এই প্রোডাক্টটি। যত্নে থাকুক আপনার সুন্দর ত্বক ও চুল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *