Discover Natural Beauty Tips
রেটিনল কি? ত্বকের যত্নে রেটিনলের কার্যকারিতা এবং এর পরিপূরক

ত্বকের প্রতি যত্নশীল প্রতিটি মানুষই নিত্য নতুন স্কিন কেয়ার রুটিন অ্যাডাপ্ট করে। আর স্কিন কেয়ারে অ্যাক্টিভ উপাদানের ভুমিকা কতটুকু রয়েছে তা কম বেশী সবারই এখন জানা। তবে স্কিন কেয়ারে ব্যবহৃত প্রতিটি প্রোডাক্ট ত্বকের ধরন ও সমস্যা বুঝে ব্যবহার করা উচিৎ। তাই অ্যাক্টিভ উপাদান সিলেকশনে খেয়াল রাখতে হবে। তেমনি একটি ইনগ্রেডিয়েন্ট হলো রেটিনল। রেটিনলের সঠিক ব্যবহার ত্বকের সমস্যা যেমন কমিয়ে আনে, তেমনি সঠিক মাত্রায় ব্যবহার না করলে ত্বকে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। আবার অনেক সময় স্কিনের এই ইনগ্রেডিয়েন্ট বেশ ব্যায়বহুল হয়ে থাকে। এর পরিপূরক হিসেবে কি কি উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে চলুন তা জেনে নেয়া যাক।
সবার আগে জানা উচিৎ রেটিনল কি?
রেটিনল হলো ভিটামিন এ এর আরেকটি ফর্ম যা স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টে সাধারণত অ্যান্টি-এজিং ও অ্যাক্টিভ একনি কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। এটি সেল রিজেনারশনে সাহায্য করে, সেই সাথে কোলাজেন প্রোডাকশন বুস্ট করে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ধরে রাখার পাশাপাশি ত্বকে ভিজিবল রিংকেলস ও ফাইন লাইনস কমিয়ে আনতে কার্যকরী।
তবে রেটিনল অন্যান্য সক্রিয় উপাদানের মতো প্রতিদিন ব্যবহার করা যায়না। কারণ কোষ গঠনের সময় রেটিনল যখন স্কক্রি ভাবে কাজ করে তখন স্কিন সেনসিটিভ হয়ে স্কিন ইরিটেশন শুরু হয়। কারণ রেটিনল একটি পাওয়ারফুল অ্যাক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট যা স্কিনে ডেড স্কিন এক্সফোলিয়েশনের কাজ করে। ডার্মাটোলিজিস্ট –দের মতে সপ্তাহে ২-৩ বার খুব কম কন্সট্রেশন দিয়ে রেটিনল ব্যবহার করলে স্কিনে সেটি ইফেক্টিভলি কাজ করবে।
রেটিনল যেহেতু প্রতিদিন ব্যবহার করা যায় না তাই তার পরিবর্তে কিছু ডেইলি অ্যাক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন-
বাকুচিওল (Bakuchiol)
বাকুচিওল হলো প্লান্ট বেজড রেটিনল অল্টারনেটিভ, যা ‘বাবচি’ নামের গাছ থেকে সংরক্ষণ করা হয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি–এজিং প্রোপার্টিজ ফ্রী রেডিক্যাল ড্যামেজ থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ যেমন- রিংকেলস ও ফাইন লাইনস কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। এটি সেনসিটিভ স্কিন ফ্রেন্ডলি।
এএইচএ / বিএইচএ (AHA/BHA – Glycolic & Salicylic Acid)
এই ধরনের অ্যাক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস ডেড স্কিন সেল এক্সফোলিয়েট করে । এতে স্কিন টেক্সচার ইম্প্রুভ হয়, এবং ত্বকে নতুন কোষ গঠনে রেটিনলের চেয়ে ভালো কাজ করে।
নিয়াসিনামাইড (Niacinamide)
নিয়াসিনামাইড হলো ভিটামিন বি৩ যা ত্বকে পোরস মিনিমাইজ করে, স্কিনের কোলাজেন প্রোডাকশন বাড়িয়ে স্কিন ইলাস্টিসিটি বৃদ্ধি করে এবং ডার্ক স্পটস ও হাইপারপিগমেনটেশন কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। স্কিন ইলাস্টিসিটি বৃদ্ধি পেলে রিংকেলস ও ফাইন লাইনস কমে আসে। তাই নিয়াসিনামাইড, রেটিনলের পরিবর্তে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ভিটামিন সি
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ভিটামিন সি ড্যামেজ স্কিন সেল রিপেয়ার করতে সাহায্য করে। এতে স্কিনে সান বার্ন , ডার্ক স্পটস ও পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে। সেক্ষেত্রে ভিটামিন সি কোলাজেন প্রোডাকশনেও কাজ করে।
পেপটাইডস
পেপ্টাইডস অ্যামাইনো অ্যাসিডের শর্ট চেইন যা আমাদের স্কিনে কোলাজেন ও ইলাস্টিন গঠনে সাহায্য করে। এতে আমাদের স্কিন হয় ফার্মড অ্যান্ড ময়েশ্চারাইজড। স্কিন যদি ডিপলি ময়েশ্চারাইজড থাকে তাহলে ভিজিবল রিংকেলস ও ফাইন লাইনস এর মতো সমস্যা কম দেখা দেয়।
বয়সের সাথে সাথে কিন্তু আমাদের ত্বকের ধরন পরিবর্তন হতে থাকে। তাই বেসিক স্কিন কেয়ারে তার সমস্যা ও চাহিদা অনুযায়ী আমাদের স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট বেছে নিতে হয়। যে কোন স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা চিন্তা করে ব্যবহার করলে তার বিরুপ প্রভাব থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখা যায়। যত্নে থাকুক আপনার সুন্দর ত্বক।