BANGLA, Blog

স্কিন ওয়ার্ক আউট – শুধুই কি ট্রেন্ড নাকি আসলেই কার্যকরী?

শরীর সুস্থ রাখতে তো ওয়ার্কআউট এর কথা শুনেছি এই স্কিন ওয়ার্কআউট আবার কি? প্রশ্ন আসতেই পারে। স্কিন ওয়ার্কআউট রেগুলার ওয়ার্কআউট থেকে কিছুটা ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে এর পেছনের মূল উদ্দেশ্য কিন্তু একই বডি ফিটনেস ধরে রাখার সাথে সাথে স্কিন টেক্সচারের ইম্প্রুভমেন্ট হওয়া।

 

কিভাবে শুরু করবো এই স্কিন ওয়ার্কআউট?

ফেসিয়াল ইয়োগা– ফিটনেস এর কথা মাথায় আসলে ইয়োগা এর কথা একবার সবাই আমরা একবার ভাবি। ঘরে বসেই কিছু সিম্পল ইয়োগা ওয়ার্কআউট করা যায়। যেমন- ফেসিয়াল ট্যাপিং। হাতে আঙ্গুলের সাহায্যে হালকা ট্যাপিং মোশনে কপালে, চোখের নিচে, নাক ও ঠোঁটের চারপাশে প্রতিদিন অন্তত ৫ মিনিট করে ম্যাসাজ করুন। এটি স্কিনে ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি করে এবং কোলাজেন প্রোডাকশন বুস্ট করে রিংকেলস ও ফাইন লাইন্স কমাতে সাহায্য করে ।

নেক স্ট্রেচ – আমরা আমাদের আপার ফেস নিয়ে বেশ কন্সার্ন্ড থাকলেও আমাদের গলা বা নেক এড়িয়া বলতে গেলে স্কিপ করে ফেলি। অথচ অনেক সময় এই স্পেসিফিক জায়াগায় ফাইন লাইন্সের মতো সমস্যা সবার আগে দেখা যায়। এর একটি সহজ সমাধান আছে। সামান্য পেছনে হয়ে ওপরের দিকে ১০-১৫ সেকেণ্ড তাকিয়ে থাকুন। ৫-১০ সেকেন্ড এর ব্রেক আরও কয়েকবার এমন করে নিন। এটি আপনার নেক এড়িয়ায় স্কিন ইলাস্টিসিটি বাড়িয়ে চামড়া ঝুলে পড়া বা স্যাগিনেস কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।

চিক লিফটিং – গালের দুপাশ নিচ থেকে হাতের আঙ্গুল দিয়ে ওপরের দিকে হালকা চেপে ৫ থেকে ১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। এভাবে ৫-১০ বার এই প্রসেস রিপিট করুন। এটি স্কিন মাসল বিল্ড আপ এ সাহায্য করে এবং স্কিন লিফট আপ করে ত্বকের ঝুলে পড়া ভাব বা স্যাগিনেস কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।

ফরহেড লিফটিং – চিন্তার ভাঁজ কপালে পড়ে যাচ্ছে- প্রচলিত এই কথার সত্যতা রয়েছে। এই ধরনের ভাঁজ ই কখনো রিংকেলস আবার কখনো সুক্ষ্ম ফাইন লাইনস এর মতো স্কিনে দেখা যায়। ফরহেড লিফটিং এই ধরনের রিংকেলস ও ফাইন লাইনস এর ভিজিবিলিটি কমিয়ে আনতে সাহায্য

করে। দু হাতের চারটি করে আঙ্গুল কপালে রেখে হালকা ভাবে দুপাশে টানতে থাকুন। এভাবে ৪-৫ বার করে নিন।

আন্ডার আই লিফট – হাতের তর্জনী আঙ্গুল বা ইনডেক্স ফিঙ্গার দিয়ে চোখের নিচ থেকে উপরে সার্কুলার মোশনে ২-৩ হালকা ম্যাসাজ করে নিন। চোখের নিচের ভাঁজ কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।

ফেস স্কাল্পটিং অ্যান্ড ডি-পাফিং স্কিনে রেডনেস কিংবা পাফিনেস কমানোর জন্য গুয়াশা বা জেড রোলারের মতো বিউটি ট্যুলস এর ব্যবহার এখন জনপ্রিয়। এই মেথড কে বলা হয় ফেস স্কাল্পটিং অ্যান্ড ডি-পাফিং। গুয়াশা ব্লাড সার্কুলেশন ইম্প্রুভ করে স্কিনে ডিটক্সিফাইয়িং ম্যসাজার হিসেবে কাজ করে। এতে স্কিন হয় ন্যাচারালি গ্লোয়িং। অন্যদিকে, বেসিক স্কিন কেয়ারে ব্যবহৃত প্রোডাক্ট যাতে ঠিক মতো ইভেনলি ডিস্ট্রিবিউট হয় সেভাবে কাজ করে। এতে স্কিনে প্রোডাক্ট ইফেক্টিভলি কাজ করে।

এই স্কিন ওয়ার্কআউট এর উপকারীতা কি?

রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে

আমাদের ত্বকের নিজেস্ব উজ্জ্বলতা থাকে। রেগুলার স্কিন ওয়ার্কআউট শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে স্কিনে কোলাজেন প্রোডাকশন বুস্ট করে। এতে স্কিন হয় ভেতর থেকে উজ্জ্বল।

 

স্কিন টেক্সচার ইম্প্রুভ করে

এই ধরনের ওয়ার্কআউট শরীরে ব্লাড ফ্লো বৃদ্ধি করে স্কিন টেক্সচার ইম্প্রুভ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই ধরনের রুটিন এক্সারসাইজ স্কিনে হেলদি ময়েশ্চার ধরে রাখতেও সহায়ক।

 

মানসিক চাপ কমায়

আমাদের ত্বকে মানসিক চাপের প্রভাব খুব ভালো ভাবেই বোঝা যায়। তাই এই ধরনের এক্সারসাইজ আমাদের স্ট্রেস কমাতেও অনেকটা হেল্প করে।

 

 

অনেক সময় খুব জটিল কিছু না করেও সহজ কিছু উপায়ে ত্বকে তারুণ্য ও উজ্জ্বলতা দীর্ঘদিন ধরে রাখা যায়। কিছুটা সময় নিয়ে ত্বকের যত্ন নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *